প্রথমপাতা২৪ ডেস্ক : যমুনা রেল সেতুর ওপর দিয়ে জানুয়ারির শেষ কিংবা ফেব্রুয়ারির প্রথমেই পূর্ণগতিতে ট্রেন চলবে বলে আশা করা যাচেছ। এতে করে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের মেলবন্ধন সৃষ্টি হবে।
প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ। এখন ফিনিশিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। যমুনা রেল সেতু আগামী জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন রেল সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম।
গত শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইলের ইব্রাহিমাবাদ স্টেশনের ভবন ও প্ল্যাটফর্ম পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন। এসময় সচিব বলেন, যমুনা বহুমুখী সেতু দিয়ে ট্রেন কমগতিতে চলাচল করলেও রেল সেতু দিয়ে ট্রেন তার পূর্ণগতিতে যেতে পারবে।
টাঙ্গাইল-গাজীপুর রেললাইনটি ডাবল লেন করার বিষয়ে সচিব বলেন, রেল সেতুটি যেমন জাইকার সহায়তায় বাস্তবায়ন হয়েছে।
ঠিক তেমনি আরও বেশ কিছু প্রকল্প জাইকার সহায়তায় করা হবে।
সেই প্রকল্পগুলোর আওতায় জনগণের সুবিধার জন্য টাঙ্গাইল গাজীপুর রেল সড়কটি ডাবল লেনের করা হবে।
সচিব বলেন, রেল শুধু প্রকল্পের মান দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন সচিব। প্রয়োজনে এই সড়কে নতুন ট্রেন সংযুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় রেলের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন, যমুনা রেল সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান,
প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর ওপর প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু এবং
সেতুর দুই পাড়ের নাম পরিবর্তন করে পরিপত্র জারি করেছে বাংলাদেশ সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয়।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-৬ (রেল অপারেশন) শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব তানজিনা শাহরীন স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন করে নাম রাখা হয় ‘যমুনা রেলসেতু’।
সেতুর দুই পাড়ের নাম যমুনা সেতু পূর্ব এবং যমুনা সেতু পশ্চিম পরিবর্তন করে রাখা হয়-
পূর্ব পাড়ের রেলওয়ে স্টেশনের নাম পূর্ব নাম প্রতিস্থাপন করে ইব্রাহিমাবাদ এবং পশ্চিম পাড়ের নামকরণ করা হয় ‘সয়দাবাদ’।
উল্লেখ্য, উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম প্রিন্সিপাল, শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁর নামানুসারে
সেতুর পূর্ব পাড়ের রেলওয়ে স্টেশনের নাম রাখা হয়ে ছিল ‘ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন’।
প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁর নামাঙ্কিত করায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ধন্য জানিয়ে নামের বানান ‘ইবরাহীমাবাদ’ করার দাবি জানান সুধীমহল।