টাঙ্গাইল সংবাদদাতা : বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করেছেন রুমী খাতুন নামের ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক সন্তানের জননী।
বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলি ইউনিয়নের ডুবাইল গ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে এ অনশন অবস্থান পালন করে অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী।
এদিকে অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকার খবর পেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়েছে অভিযুক্ত প্রেমিক আলি শেখ। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি করেছে।
এ বিষয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারী বাদি হয়ে টাঙ্গাইল আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে সিরাজগঞ্জের বওড়া শেরনগর গ্রামের আব্দুল রাজ্জাকের মেয়ে রুমী খাতুনের সাথে
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলি ইউনিয়নের ডুবাইল গ্রামের চান মিয়ার ছেলে আজাদ হোসেনের সাথে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বিয়ের পর তাদের পুত্র সন্তান (দেড় বছর) হয়। পরে রুমীর স্বামী আজাদ জীবিকার তাগিদে ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর মালয়েশিয়াতে পারি জমায়।
এসময় রুমী খাতুন সন্তান নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন। এ অবস্থায় আজাদের চাচাতো ভাই আলিম শেখ আজাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো।
একপযার্যে আলিমের সাথে রুমী খাতুনের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সর্স্পক গড়ে উঠে।
এসময় তাদের মধ্যে একাধিবার শারীরিক সর্ম্পক গড়ে উঠে। এতে রুমী খাতুন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
বিষয়টি জানাজানি হলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন রুমিকে ঘরে থেকে বের করে দেয়।
এ অবস্থায় আলিম রুমিকে বিয়ের আশ্বস দিলেও তা পালন করেনি।
এ নিয়ে একাধিক শালিসি বৈঠক হলেও এর কোন সুরহা হয়নি।
পরে বৃহস্পতিবার সকালে অন্তঃসত্ত্বা রুমী খাতুন বিয়ের দাবিতে আলিমের বাড়িতে অনশন শুরু করেন। এসময় রুমী খাতুনের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় আলিম।
মেয়ের বাবা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে ঘরে নিচ্ছে না। আমরা সঠিক বিচারের দাবি করছি।
ছেলের চাচা হাকি বলেন, আমিও এর সুষ্ঠ সমাধান চাই। অন্তঃসত্ত্বা নারী রুমী খাতুন বলেন, বিয়ের আশ্বাস দিলেও আলিম শেখ আমাকে বিয়ে করেনি। আমি সঠিক বিচার চাই।