কালিহাতী সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে উকিল শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়েছেন সেবা এনজিও’র এক মাঠকর্মী। এ ঘটনায় ওই কর্মীকে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন এনজিও কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১ জুলাই) উপজেলার এলেঙ্গা পৌর এলাকার চিনামুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, চিনামুড়া গ্রামের মোস্তফা স্থানীয় জামে মসজিদের ইমাম ও নূর এ মদিনা মাদ্রাসার শিক্ষক। প্রায় ১৫ বছর পূর্বে একই পৌরসভার চেচুয়া গ্রামে বাদশা ফকিরের এর মেয়ে রাজিয়ার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে মোস্তফার সংসার করে আসছিল। সংসারে তাদের দশ বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে। প্রতিবেশী আব্দুল মান্নানের পরিবারের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকায় তার ছেলে সেবা এনজিও তে কর্মরত মাজিদুর এর বিয়েতে ইমাম মোস্তফাকে উকিল শশুর হিসেবে নিযুক্ত করেন। এতে মোস্তফার বউ রাজিয়া বেগম মাজেদুর এর উকিল শাশুড়ি হন। আত্মীয়তা হওয়াতে মাজেদুর তার উকিল শশুর বাড়ীতে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। এক পর্যায়ে মোস্তফার সুন্দরী স্ত্রীর প্রতি নজর পড়ে মাজেদুরের। যা পরকিয়ায় রূপ নেয়। জামাই শাশুড়ির সম্পর্ক জানাজানি হলে মাজেদুরের স্ত্রীর সাথে ডিভোর্স পর্যন্ত গড়ায়। মাজিদুর রহমান সেবা এনজিও’তে গাজীপুর জোনের মেম্বারবাড়ী শাখায় মাঠকর্মী হিসেবে কর্মরত।
এদিকে, গত মঙ্গলবার মাজেদুর তার পরকিয়া প্রেমিকা (উকিল শাশুড়ি) রাজিয়াকে নিয়ে তার কর্মস্থল এলাকার কথা বলে চলে যান। বিষয়টি নিয়ে এলাকা উত্তেজনা বিরাজ করছে। মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন ইমাম মোস্তফা ও তার পরিবার।
স্থানীয়রা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে জানান, যে নারী জামাতার সাথে পরকিয়া করে ভেগে যায় সে ক্ষমার অযোগ্য। এটি জঘন্যতম অপরাধ। পরিবারটি ধ্বংস করে দিলো ওই নারী। পরকিয়ার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি জানাচ্ছি।
মোস্তফার বাবা জানান, আমাদের মুখে চুনকালি দিয়ে ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ৫ লাখ টাকা নিয়ে উকিল জামাই মাজিদুরের সাথে পালিয়ে যায়। আমি ওই নারীর যথাযত শাস্তি দাবি করছি। এ বিষয়ে আমার ছেলে কালিহাতী থানায় একটি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। ভূক্তভোগী মোস্তফা জানান, আমি খুবই মর্মাহত।
এ বিষয়ে মাজেদুরের সাথে একাধিক বার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি ফোন রিসিভ করে কেটে দেন।
এ বিষয়ে “সেবা” এনজিও’র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। এ ঘটনায় জড়িত ওই মাঠকর্মী মাজিদুর রহমানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।