ইসলাম ধর্মে যিশু ও মেরিকে কীভাবে দেখা হয়?

ইসলাম ধর্মে যিশু ও মেরিকে কীভাবে দেখা হয়?

ধর্ম ডেস্ক : যখন বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলো যিশুর জন্ম উদযাপন করে, তখন প্রশ্ন
ওঠে যে মুসলমানরা ভার্জিন মেরি অর্থাৎ কুমারী মরিয়ম এবং তার পুত্র জেসাস বা যিশু বা নবী ঈসাকে কীভাবে দেখে?

বিশ্বব্যাপী যিশুর অনুসারীর সংখ্যা সর্বাধিক। এরপর দ্বিতীয় অবস্থানেই রয়েছে মুসলমানরা।

ইসলামের জন্য তাদের নবী ঈসার মা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে কোরানের একটি সূরার নাম ‘মরিয়ম’ রাখা হয়েছে।

তিনিই একমাত্র নারী, যাকে মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থে নাম ধরে উল্লেখ করা হয়েছে।

কোরানের ১১৪টি সূরার মধ্যে ১৯ নম্বর সূরাটি ওই নারীর নামে নামকরণ করা হয়।

“মরিয়মের নাম ক্যানোনিকাল গসপেলগুলোয় যতবার বলা হয়েছে তার চাইতে বেশি বলা হয়েছে কোরানে।
কোরানের কমপক্ষে ৭০টি আয়াতে মরিয়মের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।”

জন ইউনিভার্সিটির থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজের অধ্যাপক জেকি সারিটোপ্রাক যুক্তরাষ্ট্রের, অক্সফোর্ড বিবলিওগ্রাফিজ ওয়েবসাইটে “মেরি ইন ইসলাম” লেখায় এই তথ্য জানান৷

আমার মনে আছে, ২০০৮ সালে যখন লন্ডনের মুসলিম ওয়েলফেয়ার হাউসের মুখপাত্র, আহমেদ মাহির সাবিকের
সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম, তিনি যেভাবে মরিয়মের কথা বলেছিলেন তাতে আমি মুগ্ধ হয়েছি।

আহমেদ মাহির সাবিক বলেছিলেন, “যখন আমরা মরিয়মের নাম উল্লেখ করি তখন আমরা ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম
’এই বাক্যাংশটি যোগ করি, যার অর্থ ‘তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।’ “

“মরিয়ম মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত সম্মানিত একজন নারী এবং যারা তাকে সম্মান করে না তাদেরকে মুসলমান
বলে গণ্য করা হয় না,” তিনি বলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *