টাঙ্গাইলে কোরবানির পশু চাহিদার চেয়ে ২৯ হাজার বেশি

টাঙ্গাইলে কোরবানির পশু চাহিদার চেয়ে ২৯ হাজার বেশি

টাঙ্গাইল সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলে ১২টি উপজেলায় এবার কোরবানির পশুর কোন ধরনের সংকট হবে না বলে আশা করা যাচ্ছে। খামারী ও গৃহস্থ পর্যায়ে চাহিদার চেয়ে ২৯ হাজার বেশী পশু পালন করা হয়েছে । এ কারণে কোরবানির পশুর দামও ক্রেতাদের নাগালে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। খামারি, গৃহস্থ ও জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

পবিত্র ঈদুল আযহা সামনে রেখে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন উপজেলায় দুই লাখ ৩৬ হাজার নয়শ ৯০টি গবাদি পশু প্রস্তুত রয়েছে। এসব পশুর বিপরীতে জেলায় কোরবানির চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ১১হাজার ৯শ ৭৪টি। ফলে ২৯ হাজার ৪শ’ ৪৪টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।

এদিকে কোরবানির বাজারে ভালো দামের আশায় শেষ সময়ে পশুর যত্ন-পরিচর্যা বাড়িয়েছেন খামারি ও গৃহস্থরা। অনেক খামারি ইতোমধ্যে গরু বিক্রি শুরু করেছেন। চাহিদার তুলনায় বেশি পালন করা খামারি ও গৃহস্থরা জেলার বাইরে বিক্রি করতে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে।

এ জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা পুরুন করে উদ্বৃত্ত পশু অন্য এলাকায় সরবরাহ করা যাবে বলে জানান তারা। তবে গো-খাদ্যের দাম বেশি থাকায় গবাদি পশুর দাম কিছুটা বেশি হতে পারে বলে জানান কেউ কেউ।

খামারি ও গৃহস্থরা বলেছেন, বর্তমানে পশুর খাদ্যের দাম অনেক বেশি। পশু পালন কষ্টসাধ্য কাজ হয়ে দাড়িয়েছে। পাশাপাশি গরু-ছাগল ও ভেড়া পালনের মতো মাঠ বর্তমানে নেই বললেই চলে।

আগে মানুষ মাঠে গরু-ছাগল ও ভেড়া ছেড়ে দিতো। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রেখে গোয়ালে নিয়ে আসতো। বর্তমানে তাদের গোয়ালেই রেখে পালন করতে হয়। এজন্য তারা খাদ্যের দাম কমানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশ না করলে খামারিরা হাটে ন্যায্যমূল্যে পাবেন বলে আশা করেন খামারি ও গৃহস্থরা। তারা বলেন টাঙ্গাইলে পর্যাপ্ত গরু-ছাগল রয়েছে। বাইরে থেকে পশু আনতে হবে না। আমরাই গরু-ছাগল-ভেড়া অন্য জেলায় পাঠাতে পারবো। তবে খামারি গৃহস্থরা তাদের পশু ঠিক মতো বাজারজাত করতে না পারেন তাহলে লোকসান হবে।

টাঙ্গাইলের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শহীদুল আলম বলেন, জেলার ১২টি উপজেলায় ২৬হাজার ২শত ৩টি খামারির ঘরে ১লক্ষ ৫হাজার ৬৯টি গরু এবং ১লক্ষ ২২হাজার ৩শত ৮টি ছাগল ও ৯হাজার ১শত ১৯টি ভেড়া বাজারে বিক্রির জন্য প্রস্তত রয়েছে। খামারিদের সব রকমের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সোহেল রানা জানান, হাটে গবাদি পশু অসুস্থ্য হলে দ্রুত পশু চিকিৎসার জন্য ভেটেরিনারী টিম নিয়োজিত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *