রাতে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কাটতে ব্যর্থ হয়ে সকালে তালাক দিল স্ত্রী!

রাতে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কাটতে ব্যর্থ হয়ে সকালে তালাক দিল স্ত্রী!

শ্রীপুর সংবাদদাতা : গাজীপুরের শ্রীপুরে দাম্পত্য কলহের জেরে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক স্ত্রীর বিরুদ্ধে। লিঙ্গ কর্তনে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে ক্ষোভে পরের দিন সকালেই স্বামীকে তালাক দিয়েছেন ওই নারী।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে কাজী অফিসের মাধ্যমে তালাক সম্পুর্ন করা হয়। এরআগে, রোববার গভীর রাতে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তির নাম মো. মাসুদ মিয়া (২২)। তিনি উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ উত্তর পাড়া এলাকার শহীদ মিয়ার ছেলে। অভিযুক্ত স্ত্রীর নাম কারিমা খাতুন (২০)। তিনি উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের নার্সারী মাঠ এলাকার আনোয়ার হোসেনের মেয়ে।

আহতের স্বজন ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, আনুমানিক তিন বছর আগে মাসুদ মিয়ার সাথে বিয়ে হয় কারিমার। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে তাদের দাম্পত্য কলহ চলছিল। কারিমার ধারণা মাসুদ অন্য মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। সে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানতে পারেন। এরই জের ধরে রোববার গভীর রাতে ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ কাটার চেষ্টা করেন কারিমা। এ কাজে ব্যার্থ হওয়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে সকালেই স্বামীকে তালাক দেন তিনি।

আবুল কালাম নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘রাতে মাসুদের স্ত্রী ঘুমন্ত অবস্থায় ব্লেড দিয়ে লিঙ্গ কর্তন করার চেষ্টা করে। এতে মাসুদের পুরুষাঙ্গের অনেকটা কেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।’

এ বিষয়ে মাসুদ মিয়া বলেন, ‘আমি দিনমজুরের কাজ করি। গতকাল রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়ি। হঠাৎ আমার স্ত্রী আমার পুরুষাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কাটার চেষ্টা করে। পরে আমি সজাগ হয়ে যাই। সজাগ হয়ে দেখি আমার লিঙ্গ থেকে রক্ত পড়ছে। পরে ডাক্তারের নিকট গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি।’

এ বিষয়ে মাসুদের স্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শ্রীপুর থানার কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তে এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডলকে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *