সূর্যমুখী চাষে বদলে গেছে শ্রীপুরের বরমীর দৃশ্যপট

সূর্যমুখী চাষে বদলে গেছে শ্রীপুরের বরমির দৃশ্যপট

অনলাইন ডেস্ক : সূর্যমুখী চাষে বদলে গেছে শ্রীপুর উপজেলার বরমীর দৃশ্যপট। উপজেলার বরমি ইউনিয়নের কায়েতপাড়া এলাকায় গেলেই দেখা মিলছে দৃষ্টিনন্দন হলদে সূর্যমুখী বাগান। দেখলে মনে হবে সূর্যের দিকে তাকিয়ে হাসছে ফুলগুলো।

অনেকটা সখের বসে পরীক্ষামূলক চাষেই সফলতা পেয়ে কৃষক কবির হোসেনের মুখে যেন স্বস্তির হাসি।

তিনি জানান, উপজেলা কৃষি অফিস সার-বীজসহ সব ধরনের সহযোগিতা দিলেও মনে কাজ করছিল ভয়। সেই ভয়কে জয় করে বর্তমানে ৭০% গাছে এখন শোভা পাচ্ছে বিশালাকার সূর্যমুখী।

শহুরে যান্ত্রিক জীবনকে ক্ষণিকের বিরতি দিতে দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন এ সূর্যমুখীর মাঠে।

জানা যায়, বরমি ইউনিয়নের কায়েতপাড়া এলাকার শাহজাহান হোসেনের ছেলে কবির হোসেন সাজিয়েছেন এই বাগান।বাবা শাহজাহান পাশে থেকে দিয়েছেন সাহস আর শ্রম।

কবির হোসেন জানায়, এবার অনেকটা সখের বসে পরীক্ষামূলকভাবে ১৩৫ শতক জায়গায় চাষ করেছি। আমার নামেমাত্র টাকা খরচ হয়েছে, তাই প্রথমবারই লাভবান হওয়ার আশাবাদী।

এদিকে ভোজ্য তেলের ঘাটতি মেটাতে কৃষকদের মাঝে সূর্যমুখী চাষের আগ্রহ তৈরি করা হচ্ছে বলে জানায় শ্রীপুর উপজেলা কৃষি অফিস।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সুমাইয়া সুলতানা বলেন, ‘পুষ্টি চাহিদা পূরণে দেশে সূর্যমুখী চাষ করা গেলে আমদানি করা লাগবে না। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বীজ বপন করা হয়। বীজ বপনের ৯০-১০০ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যায়। সামান্য রাসায়নিক সার ও দুবার সেচ দিলেই হয়। প্রতি বিঘা জমিতে গড়ে ৭-৮ হাজার টাকা খরচ হয়। এর কাণ্ড জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার ও খৈল গরু-মহিষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।’

এছাড়া রান্নার জন্য সয়াবিন তেলের চেয়ে সূর্যমুখীর তেল দশগুণ বেশি পুষ্টিসমৃদ্ধ। এটি মানবদেহের মহৌষধ হিসেবে ভূমিকা পালন করে।

তিনি জানান,২০২৩-২৪ অর্থ বছরে প্রণোদনার মাধ্যমে উপজেলার কৃষকের মাঝে সার ও বীজ সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে উপজেলার দু’টি ইউপির ৮বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হচ্ছে। কৃষকদের মাঝে প্রচুর আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামীতে আবাদি জমির পরিমান আরো বাড়বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *