শ্রীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

শ্রীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

শ্রীপুর সংবাদদাতা : গাজীপুরের শ্রীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। শ্রীপুরের আব্দুল আওয়াল ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা দাতা সদস্য ও বিএনপি কর্মী আতাউর রহমান খোকন সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও যড়যন্ত্র মূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করছে কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীরা।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার উপজেলার জৈনা বাজার এলাকার ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ জানান তারা।

আতাউর রহমান খোকন সরকার তেলিহাটি ইউনিয়নের আবদার গ্রামের প্রয়াত আব্দুল আওয়াল সরকারের ছেলে। তিনি আব্দুল আওয়াল ডিগ্রি কলেজের দাতা সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন কর্মী।

মানববন্ধনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থী ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০ জানুয়ারি শ্রীপুর থানার একটি মামলায় কলেজের দাতা সদস্য আতাউর রহমান খোকন সরকারকে আসামী করা হয়েছে।

বিষয়টি জানাজানি হলে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক প্রকার ক্ষোভের সৃষ্টি করে। কারন, খোকন সরকার বিএনপি কর্মী হলেও দায়িত্ব পালনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখেন। তিনি ছাত্র বান্ধব একজন শিক্ষানুরাগী।

গত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সবকিছু দিয়ে সহযোগীতা করেছেন। তার বিরুদ্ধে এমন যড়যন্ত্র মূলক মামলা সকলকেই হতাশ করেছে।

তাই, মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা প্রত্যাহার করার দাবী করেন মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী-শিক্ষকগণ।

কলেজের শিক্ষার্থী সুর্বণা আক্তার বলেন,‘কলেজের দাতা সদস্য আতাউর রহমান খোকন সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমাদেরকে সাহস দিয়েছেন।

আমাদেরকে খাবার পানিসহ অনেক খাবার সরবরাহ করছেন। অথচ তিনিই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামী। এমন মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার চাই।’

তেলিহাটি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজ সরকার বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমাদের যিনি কাছ থেকে সাহস দিয়েছেন তিনি খোকন সরকার। তাকে মামলা দেয়া খুবই দুঃখজনক।

আব্দুল আওয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের কলেজের দাতা সদস্য আতাউর রহমান খোকন সরকার খুবই ভালো মানুষ।
তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সবসময় মাঠে ছিলেন। অথচ সেই ভালো মানুষটির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা।
একজন ভালো মানুষের জন্য কলেজের শিক্ষার্থী, শিকক কর্মচারী রাস্তায় চলে এসেছে। আমরা অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই।
ওসি মহোদয়ের সাথে কথা হওয়ার পরপরই মহাসড়ক থেকে চলে আসে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সকলেই।’

তেলিহাটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু জাফর বলেন, ‘খোকন সরকার বিএনপির একজন একনিষ্ঠ কর্মী। তাকে হত্যা মামলা আসামি করায় তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
একই সঙ্গে যড়যন্ত্র মূলক মামলার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি করছি।’

মামলার বিষয়ে আতাউর রহমান খোকন সরকার বলেন,’ ওই ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছু অবগত নই। মামলার বাদিকেও আমি চিনি না।আমাকে অন্যায় ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। আমি ঢাকায় আছি।
আমার প্রিয় শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে বলে আমাকে জানানো হয়েছে। আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে, মহাসড়ক অবরোধ করায় কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি সকলের পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’

বিষয়টি জানতে ওই মামলার বাদি মোছা. মেঘনা আক্তারের মোবাইলে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে ফোন বন্ধ করে দেন।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন,’খবর পেয়ে হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাথে কথা বলে যান চলাচল স্বাভাবিক করি।
রাস্তা অবরোধ থাকার কারণে কিছু সময় যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে আলাপআলোচনা করেছি। মামলা তদন্ত করে নির্দোষ ব্যক্তিদের অব্যহতি দেওয়া হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *