পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

অনলাইন ডেস্ক : পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় অভিনেত্রী পরীমনির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করে এ পরোয়ানা জারি করেন।

পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমণিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

এ মামলার অন্য দুই আসামি হলেন, পরীমণির সহযোগী ফাতেমাতুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।

মামলায় নাসির উদ্দিন উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামীদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না।

পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢোকেন এবং দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন।

পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন।

এতে আরও বলা হয়, বাদী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসির উদ্দিনকে ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন।

এক পর্যায়ে পরীমণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে তাকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন।
এতে রাজি না হওয়ায় নাসির উদ্দিনকে গালমন্দ করেন পরীমণি।

বাদানুবাদের এক পর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোন ছুড়ে মারেন। এতে মাথা ও বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন নাসির উদ্দিন।

মামলায় আরও উল্লেখ কার হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেন এবং বোট ক্লাবে ভাঙচুর করেন।

এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে পরীমণি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুই জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *