টাঙ্গাইল সংবাদদাতা : বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) সেতু‘র প্রধান কার্যালয় সেতু ভবনে প্রতিষ্ঠানটির এক শাখা হিসাব রক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে তাকে হত্যা করার পর পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে হাসান অসুস্থ ও হাসপাতালে রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন নিহতের স্বজনরা।
এর আগে (১৬ সেপ্টেম্বর) সোমবার আঠার লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে হাসানসহ দুইজনকে কর্তৃপক্ষ আটক রাখে বলেও জানান স্বজনেরা।
নিহত হাসান (৩৫) সেতু’র জামালপুর শাখার হিসাব রক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার পুটিয়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।
স্বজনদের অভিযোগ, (১৬ সেপ্টেম্বর) সোমবার ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ শাখা হিসাব রক্ষক হাসান ও এরিয়া ম্যানেজার লিটনকে ধরে এনে একটি বদ্ধ ঘরে আটকে রাখাসহ নির্যাতন চালায়।
টাকা না দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলা হয়।
বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানানো হলে মিমাংসার জন্য তিনদিনের সময় নেন তারা। হঠাৎ শুক্রবার রাতে প্রতিষ্ঠানটি থেকে জানানো হয় হাসান অসুস্থ ও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
পরবর্তীতে রাতেই টাঙ্গাইল সদর থানা থেকে জানানো হয় হাসানের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের মা সুফিয়া খাতুন বলেন, আমার ছেলে হাসান পাঁচ বছর যাবৎ ওই এনজিওতে চাকুরী করে। ছয় মাস যাবৎ জামালপুর শাখার দুই কর্মীর সাথে তার ঝামেলা চলছিল।
গত সোমবার কর্তৃপক্ষ হাসানকে জামালপুর থেকে ধরে আনেন। এরপর তার মোবাইল কেড়ে নেয় ও তাকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে দেয়া হয়না।
খবর পেয়ে বুধবার আমরা হাসানকে দেখতে আসলে তার সাথে আমাদের কথা বলতে দেয়নি এবং আমাদের সামনেই তাকে বকাবকি করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১২টায় সেতু’র লোক আমাকে ফোন দিয়ে জানায় হাসান অসুস্থ ও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
পরবর্তীতে রাতেই আবার থানার ডিউটি অফিসার ফোন দিয়ে জানায় আমার ছেলে হাসান মারা গেছে। আমার ছেলেকে উনারা হত্যা করেছে। আমি সন্তান হত্যার বিচার দাবি করছি।
বেসরকারি সংস্থা সেতুর নির্বাহী পরিচালক মির্জা শাহাদত হোসেন বলেন, হাসানের পরিবারের সাথে কথা বলা হচ্ছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাদিকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামী করে সন্ধ্যায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান তিনি।