অনলাইন ডেস্ক : শীতের শেষ সময়ে ত্বকের বাহ্যিক অংশ, বিশেষ করে পায়ের প্রয়োজন বিশেষ যত্ন। কারণ
আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের কারণে ত্বক অতিমাত্রায় শুষ্ক হয়ে যায়। এই সময়টাতে পায়ের কীভাবে যত্ন নেবেন সে
বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন শোভন মেকওভারের রূপবিশেষজ্ঞ শোভন সাহা
ময়েশ্চারাইজার মাস্ট : শুষ্কতা ও ধুলাবালির কারণে পা ও গোড়ালির ত্বক বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। তাই বাইরে বের
হলে পা-ঢাকা জুতা ব্যবহার করুন। পায়ে সরাসরি ঠাণ্ডা বাতাস না লাগলে ত্বক অনেকক্ষণ ময়েশ্চারাইজার ধরে
রাখতে পারে।
ত্বকে সঠিক আর্দ্রতা জোগাতে দুবেলা ময়েশ্চারাইজার করা খুব জরুরি। সকালে ও রাতে দুবেলা কুসুম গরম পানি
দিয়ে পা ধুয়ে ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করুন।
পা ফাটার প্রবণতা থাকলে রাতে ঘুমানোর আগে পা ধুয়ে ভেজা অবস্থায় গোড়ালি ও পায়ের পাতায় ভেসলিন লাগান।
শুকিয়ে গেলে সুতির মোজা পরে ঘুমান। ব্যাগে সব সময় ছোট্ট লোশনের কৌটা রাখুন। যখনই শুষ্ক মনে হবে পা
ধুয়ে লোশন লাগাবেন।
স্কিন কেয়ার মাস্ক : পায়ের ত্বকের কোমলতা ধরে রাখতে সপ্তাহে দুদিন রাতে শোয়ার আগে প্যাক লাগাতে পারেন।
১ চা চামচ মধু, ১ চা চামচ লেবুর রস, ১ চা চামচ মুগডাল বাটা, ২ চা চামচ গ্লিসারিন, ২ টেবিল চামচ পাকা কলা
পেস্ট ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই প্যাক হাঁটু থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে অল্প মাসাজ করে
কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। পা ভালো করে মুছে লোশন লাগান।
বিশেষ পরিচর্যা : সহনীয় গরম পানিতে অর্ধেক লেবুর রস, এক চামচ শ্যাম্পু ও এক টেবিল চামচ লবণ মিশিয়ে পা
ডুবিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর পামস্টোন ঘষে ঘষে পায়ের মরাকোষ দূর করুন। স্বাভাবিক পানিতে পা ধুয়ে তারপর
স্ক্রাবার দিয়ে মাসাজ করুন। ঘরোয়া স্ক্রাবার চাইলে দুই টেবিল চামচ চালের গুঁড়োর সঙ্গে মেশাতে হবে সমপরিমাণ
টকদই ও এক টেবিল চামচ কোকো পাউডার। পুরো পায়ে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে হালকাভাবে মাসাজ
করে ধুয়ে নিন। পা শুকানোর আগেই লোশন লাগান।